গুটি জামালের অঢেল সম্পদের উৎস কি?

ডেস্ক রিপোর্ট •

আলহাজ্ব জামাল উদ্দীন। রামুর হিমছড়ি এলাকার অতি দরিদ্র, দিন-মজুর আব্দুল হাকিমের ছেলে। এক সময় যার নুন আনতে পান্তা ফুরাত, সেই আব্দুল হাকিমের ছেলে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। হঠাৎ আলাদীনের চেরাগ পেয়ে রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। তার রয়েছে একাধিক গাড়ি-বাড়ী, দোকান-মার্কেট, জমি, ফ্ল্যাট, সব মিলিয়ে ৫০-৬০ কোটি টাকার সম্পদ। কিন্তু নামের আগে আলহাজ্ব থাকলেও তিনি গুটি জামাল হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।

আলোচিত একটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় দীর্ঘ সাড়ে চার বছর ধরে তিনি পলাতক আসামি। তাই নিজ এলাকা রামুর হিমছড়ি গ্রামে তার আনাগোনা একেবারেই কম। রামু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার খুব ইচ্ছে থাকলেও শীর্ষ ইয়াবা কারবারী হিসেবে চিহ্নিত ও ইয়াবা মামলায় পরোয়ানা ভুক্ত হওয়ায় মেম্বার পদে দাঁড়ানোর শখ ও পূরণ করতে পারছেন না। কেননা তিনি ইয়াবা মামলায় একজন পলাতক আসামি।

অন্যদিকে তিনি রামুর মাদক মামলার পলাতক আসামি হলেও উখিয়া উপজেলার ট্রাক-পিকআপ সমবায় সমিতি লিঃ এর কার্যকরী পরিষদের দুই-দুইবারের সাধারণ সম্পাদক। এই পদে নির্বাচিত হওয়ার পিছনেও রয়েছে টাকার কারসাজি। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৮ই জানুয়ারী অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে পুণরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত পদে দাড়িয়েছেন। যেন এক সফল সংগঠক। ইয়াবার টাকার বদৌলতে বাহবা পাচ্ছেন বেশ!

দেশ-বিদেশে আলোচিত ও সমালোচিত মরণ নেশা ইয়াবা কারবার করে ভাগ্য পরিবর্তন করেন নিজের। অথছ শুরুটা ছিল ট্রাক গাড়ীর হেলপার হিসেবে। পরে নিজের দক্ষতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে হন ড্রাইভার। ট্রাকের মাধ্যমে মালামাল সরবরাহ করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জাওয়ার সুযোগ হয় এবং এতে সখ্যতা হয় দেশের শীর্ষ ইয়াবা কারবারীদের সাথে। তাই তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রায় এক যুগের বেশী সময় ধরে বিচক্ষণতার মাধ্যমে চালান ইয়াবা কারবার। এবং সেই ইয়াবার বদৌলতে সে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। নামে বেনামে রয়েছে কক্সবাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় অঢেল সম্পদ। নিজের বুদ্ধিমত্তায় কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে থেকে যান ধরা-ছোয়ার বাইরে।

জামালের নেটওয়ার্ক বিশাল হওয়ায় সে বারংবার আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে তার অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় সচেতন মহলরা বলেন, ইয়াবা জামালের মতো জঘন্য মাদক কারবারি কিভাবে একটি সমিতির দায়িত্ব পালন করে, তার খুটির জোর কোথায়? এবং সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে সেটা সমিতির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছেনা?

এসমস্ত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেপ্তার পূর্বক কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য ও তাদের যারা রক্ষাকর্তা আছে তাদের আইনের আওতায় আনতে এবং সেই সাথে তাদের অবৈধ পথে অর্জনকৃত সম্পদ ও আয়ের অনুসন্ধান করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।